গল্প - ধর্ষক স্বামী - পর্বঃ_২
গল্প - ধর্ষক স্বামী - পর্বঃ_২
সোহান আমার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমাকে ছিঁড়ে খাবে। প্রথম রাতেই এই মানুষটার প্রতি আমার ঘৃণা জন্মে গেল। তার চোখের দিকে তাকাতেই মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত কেটে স্তব্দ হয়ে তাকিয়ে আছি।
সোহান আমাকে ছেড়ে বিছানার উপরে যায়।
নাইটি পরে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছি সে বালিশের উপরে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
আমার হাত ধরে বলল, দাঁড়িয়ে কেন..? আমার কাছে আসো। আজ আমাদের বাসর রাত। স্বামী-স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ রাত এটা! যাকে আমি স্মরণীয় করে রাখতে চাই।
আমার হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিল। আমার ঘাড় থেকে চুলগুলো সরিয়ে আলতো করে চুমু দেয়। এক পর্যায়ে বালিশের উপরে শুইয়ে দেয়। তারপর আস্তে করে পেটের উপরে চুমু দিতেই আমি চুমুর স্পর্শে কেঁপে উঠি।
সোহান আমাকে বলল,
- জান্নাত আমি কী আজকে তোমার সাথে ফিজিক্যালে এটাচড হতে পারি..? যদি তুমি অনুমতি দিতে..?
তার কথা শুনে আমি তো পুরো অবাক! এতক্ষণ যে মানুষটা তার নিজের মতো করে চুমু খাচ্ছিল হঠ্যাৎ করে সে অনুমতি চাইছে।
- জান্নাত বলো না কেন..?
- আপনি আমার স্বামী, আপনি চাইলে তো আমার সাথে ফিজিক্যালে এটাচড হতেই পারেন। এতে অনুমতির কিছু নেই।
- তাহলে তোমার সমস্যা তো নেই।
- নাহ্।
তারপর সোহান আমার মাঝে ডুব দিল আর আমিও তার মাঝে। কিন্তু আমাকে পেয়ে সোহান এত পরিমাণে আকৃষ্ট হয়েছিল যেন সেই রাতের জন্য নিজেকে ভুলে গিয়েছিল। তখন আমি উপলদ্ধি করছিলাম সোহানের ছোঁয়ায় কোন ভালোবাসা ছিল না ছিল শুধু চাহিদা মেটানোর। নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য মরিয়া হয়ে গেছিল। বারবার আমার সাথে...!
ফাস্ট টাইম ছিল বলে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু সেদিকে সোহানের কোন খেয়ালই ছিল না। মূহুর্তের ভেতরে স্বামী নামটার প্রতি অধিক থেকে অধিকর ঘৃণা জন্ম হয়ে গেছিল।
সোহানের চাহিদা মিটে গেলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ওপর পাশ হয়ে শুয়ে পড়ে।
সারারাত এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারিনি। বুকের কষ্টগুলো মাটিতে চাপা দিয়ে লাগেজ খুলে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ঝরণার পানি ছেড়ে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।
দীর্ঘ এক ঘন্টা পানির নিচে দাঁড়িয়ে থেকে চুলগুলো টাওয়াল দিয়ে পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
রুমে এসে দেখি সোহান বালিশের ভেতরে মুখ গুঁজে ঘুমুচ্ছে।
আস্তে আস্তে রুমে ঢুকে ড্রেসিন টেবিলের সামনে বসে চুলগুলো আনমনে আঁচড়াচ্ছি।
দরজায় ঠকঠক শব্দে সোহান আড়মোড়া দিয়ে উঠে দরজাটা খুলে দিল।
সোহানের বড় বোন এসে বলল,
- তোর সাথে দেখা করতে নিলয় এসেছে।
- তুমি ওকে বসতে বলো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আপু চলে গেলে সোহান ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ড্রইং রুমে গেল।
- কেমন আছিস নিলয়..?
- এই তো ভালোই। তুই যে বিয়ে করছিস আমাকে একটু জানালিও না..! তুই এত হারামী কবে থেকে হইলি...?
- নিলয় প্লিজ আমার কথাটা আগে শোন, তারপর তোর যা ইচ্ছা বলিস।
মুখটা বাঁকা করে নিলয় বলল,
- হ্যাঁ বল কী বলবি..?
- বিয়েটা হঠ্যাৎ করে হয়েছে ইভেন আমি নিজেও জানতাম না। বিয়ের দিন জানতে পারি। তাই তোকে জানাতে পারিনি। এখন তুই বল, এখানে আমার দোষ কোথায়...?
- হুম তা অবশ্য ঠিক। হঠাৎ করে হলে জানানো সম্ভব হয় না এটাই স্বাভাবিক।
- এখন বল তুই কী খাবি..? গরম না ঠান্ডা..?
- আমি কিচ্ছু খাব না, মাত্রই নাস্তা করে চলে এসেছি বিকালে আবার জরুরি কাজে ঢাকার বাহিরে যেতে হবে।
- আন্টি, আংকেল কেমন আছেন.?
- মা ভালো আছেন তবে বাবার শরীরটা একটু খারাপ। বয়স হয়েছে তো শরীরে রোগ জমে গেছে। আমার কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরে বাবাকে আগে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব।
- তাই কর।
- শোন ভাবীকে একটু নিয়ে আয় তো! দেখা করে চলে যাব।
- ঠিকাছে দুইটা মিনিট অপেক্ষা কর আমি গিয়ে নিয়ে আসছি।
রুমে গিয়ে বলল,
- আমার সাথে একটু আসো তো..? আমার বন্ধু তোমাকে দেখতে এসেছে।
আমি মাথায় ঘোমটা দিয়ে বিছানা দিয়ে নামতে যাবো তখনি সোহান বলল,
- জান্নাত তুমি এত বড় ঘোমটা টেনে আমার বন্ধুর সামনে যাবে..? কী বলবে ও বলতো..? ভাববে আমি কত স্মার্ট আর বউটা পুরাই... আর কিছু বলল না।
- মাথায় ঘোমটা দিয়ে পরপুরুষের সামনে যাওয়টা আজকাল রীতি হতে পারে কিন্তু ইসলামে মেয়েদের পর্দা করা ফরজ! এখন আপনি যখন বলছেন তাহলে মাথায় ঘোমটা খুলেই যাব কারণ স্বামীর আদেশ তো আর ফেলে দেওয়া যাবে না বলেই আমি সামনের দিকে পা বাঁড়ালাম। আমার পিছনে সোহান আসতে লাগল।
আমি গেস্ট রুমে ঢুকতেই সোহানের বন্ধু নিলয় দাঁড়িয়ে যায়।
সোহান নিলয়ের কাঁধে হাত রেখে বলল,
- তুই দাঁড়িয়ে গেলি কেন..? কোন সমস্যা হয়েছে নাকি..?
- নাহ্ সমস্যা হয়নি। এই বুঝি আমার ভাবীজি।
- হ্যাঁ এই তো ভাবী। জান্নাত এই হলো আমার বেস্ট বন্ধু নিলয়।
- আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
- ভাবী নতুন পরিবেশে রাতে ভালো ঘুম হয়েছ তো..? আমার বন্ধুটা কতটা স্মার্ট তবুও গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করেছে। তবে আপনার মতো এত সুন্দরী মেয়ে পেলে যে কেউ বিয়ে করবে ইভেন আমি হলেও করব। সুন্দরী মেয়ে সব ছেলেরাই পছন্দ করে।
- আসলে নতুন পরিবেশে কখনও মা-বাবাকে ছেড়ে কোথাও রাত্রিযাপন করিনি তাই রাতে ঘুমটা ভালো হয়নি। সকাল থেকেই কিছুটা মাথা ব্যথা করছে।
- ভাবী আপনার চুলগুলো তো সব ভিজে চুপচাপ করছে সকালে গোসল করেছেন বুঝি!
নিলয়ের কথাগুলো শুনে একদম ভালো লাগছে না। কী ধরণের কথা বলছে সে..? আর আমার স্বামী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথাগুলো শুনছে আর হাসছে। দাঁতে দাঁত কেটে নরম গলায় বললাম,
- গতকালকে সারাদিন জার্নি করে আসাতে খুব ক্লান্ত ছিলাম। তার উপরে অনেক গরম তাই সকালবেলায় গোসলটা সেরে নিলাম।
- ওহ্ আচ্ছা ভাবী। আমি ভাবলাম অন্য কিছু..! সোহানকে হালকাভাবে ধাক্কা মেরে বলল,
- কী শালা বাসর রাতে কিছু করিসনি..?
- আচ্ছা আপনারা কথা বলেন আমি রুমে যাচ্ছি মাথা ব্যথা করছে।
হাঁটছি আর ইচ্ছামতো গালি দিচ্ছি। এটা কী বন্ধু নাকি অন্য কিছু। আগে জানতাম মেয়েদের নাকি লজ্জা শরম কম তাই দুইটা বান্ধবী একসাথে হলে পরে হাজারও রকমের কথা নিয়ে আলাপ আলোচনা করে কিন্তু এখনে তো দেখছি উল্টা।
শরীরটা বড্ড খারাপ লাগছে তার উপরে গতকালকে কিছু না খাওয়ার কারণে পেটের মধ্যে ইঁদুর দৌঁড়াচ্ছে।
নিলয় সোহানকে বলল,
- তোর বউটা তো একদম কঁচি। বয়স তো মনে হয় ১৭ কী ১৮ হবে..? এত পিচ্চি মাইয়া তোর ওয়েট সামলাতে পারবে..?
সোহান হাসল,
- হাসিস কেন বল আমাকে..?
- জান্নাত পিচ্চি হলেও খুবই সেক্সি। গতকালকে প্রথমদিনেই আমার মন ভরিয়ে দিয়েছে।
- কী বলিস.? কথাটা সত্যি!
- একদম। আমি নিজেও অবাক হয়ে গেছিলাম যে আমার ওয়েট মেয়েটা সহ্য করতে পারবে কিনা! প্রথমবার একটু সমস্যা হলেও পরে সব ঠিকঠাক ছিল।
- কয়েকবার মানে কী..? বাসর রাতেই এত.?
- এই শালা তুই কী আমার পরীক্ষা নিতে আসছিস...? তোর না কাজ আছে যা বাসায় গিয়ে সেগুলো কর। আমি জান্নাতের কাছে যাবো।
- এখন তো তুই বিয়ে করেছিস তাই সেখানে তো আর যাবি না!
- এখনো শিউর না। দেখা যাক সামনে কী হয় বলে সোহান বসা ছেড়ে উঠে চলে গেল।
চলবে..... নতুন পেজ ফলো করেন 👉 Rubel
Comments
Post a Comment