গল্প -ধর্ষক স্বামী /পর্ব-০১...
গল্প -ধর্ষক স্বামী /পর্ব-০১...
প্রতিদিন রাতে আমার স্বামীর কাছ থেকে আমাকে বৈধভাবে ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। বিয়ের পর থেকে না চাইলেও প্রতিরাতে বিছানায় যেতে হয়। আমি হলাম তার ভোগের সামগ্রী।
মাত্র সতেরো বছর বয়সে আমাকে বিয়ের পিরিতে বসতে হয়েছে। আমি এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না তবুও বাবা, চাচারা মিলে আমাকে জোড় করে বিয়ে দিয়েছে। কত কেঁদেছি, পা পর্যন্ত ধরেছি কারও পাথর মন গলাতে পারিনি। কত করে বলেছি আমি পড়াশুনা করতে চাই, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই কিন্তু কেউ আমার কথার মূল্য দেয়নি।
তাদের একটাই কথা মাইয়া ম্যাইসের এত পড়ালেখা করতে নাই। বিয়ে দিমু স্বামীর লগে সংসার করবা, বাচ্চাকাচ্চা পালবা, এইডাই তোমাগো কাজ। আমাদের বংশে মাইয়্যাগো আঠারো বছর হবার আগেই বিয়া দিয়া দেয়। বুড়ি কইরা মাইয়্যা বিয়ে দেয় না। দেখ নাই তোমার ফুফুদের, বোনদের ষোলো বছর হবার আগেই বিয়ে দিয়েছি।
আমি জান্নাত ইন্টার প্রথমবর্ষে পড়ি। গ্রামের একান্নবর্তী পরিবারে আমার জন্ম। আমার পরিবারে মেয়েদের কোন মূল্য নেই দাদা, বাবা, চাচারা যা বলবে তাই মেনে নিতে হবে এটাই হলো একান্নবর্তী পরিবারের নিয়ম।
নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আমার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী মানুষের সাথে বিয়ে দিয়েছে। বাবার একটাই কথাই ছিল টাকার কাছে বয়সটা কোন ফ্যক্ট না। টাকা হলেই সব কিছু মানিয়ে নেয়া যায়। ছেলে জনতা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সরকারী চাকরী এমন ছেলে সব সময় পাওয়া যায় না। আজ হোক কাল হোক পরের ঘরে তো যেতেই হবে সারাজীবন তো আর বাবার ঘরে থাকা যাবে না।
আমি আমার বাবার কথাশুনে অবাক হয়ে যাই। বাবা একজন স্কুলের প্রধাণ শিক্ষক হয়ে তার তো এমন কথাটা শোভা পায় না। মেয়েরা হলো মা-বাবার বোঝা।কথায় আছে না, কোলার গরু ঝোলারে দেয় এমনি আমারেও বুড়া লোকের কাছে বিয়ে দিয়েছে। আমি এই বিয়েতে একদম খুশি না। লোকটিকে কেমন কেমন দেখায়!
বিয়ের আগেরদিন দাদী আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল বাসর রাতে কীভাবে কী করতে হবে..? শুনে মেজাজ গরম হয়ে গেছিল তবুও কিছু করার নেই মুখ বুঝে সবকিছু হজম করলাম।
বিয়ে করে আমাকে নিয়ে যায় শ্বশুড়বাড়ি। ঘর ভর্তি অনেক মেহমান। সবাই হাসহাসি করছে কিন্তু আমার মনের মধ্যে বিন্দুমাত্র আনন্দ নেই। কয়েকজন মিলে আমাকে একটা রুমে নিয়ে যায়। রুমে ঢুকে দেখি বিছানাটা ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। বুঝতে পারলাম এটাই বুঝি বাসর ঘর! এটা বাসর ঘর ভাববেই বুকটা হাহাকার করে উঠে।
বিছানায় বসে আছি একাকী চিন্তা ভাবনায় কিন্তু কার জন্য বসে আছি..? ভালো লাগছে না কিছুই।
প্রতিটা মেয়ের স্বপ্ন থাকে এই বাসর রাতকে ঘিরে। হাজারো স্বপ্ন থাকে মনের ভেতরে। কারও স্বপ্ন পূর্ণত্য পায় আবার কারও স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সারাদিন জার্নি করে আসাতে খুব ক্লান্ত লাগছে আমার। মাথাটার বা পাশে চিনচিন করে ব্যথা করছে। চোখে প্রচন্ড ঘুম পেয়েছে ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত।
হঠ্যাৎ দরজা খোলার শব্দে বুঝতে পারলাম আমার স্বামী রুমে এসেছে। বুকের ভেতরে আচমকাই ভয় কাজ করছে। মনটা ছটফট করছে তার আগমনে।
রুমের লাইট জ্বালিয়ে সে টেবিলের কাছে গিয়ে গ্লাসে ঢেকে রাখা গরম দুধটা ঢকঢক করে অর্ধেকটা খেয়ে নিয়ে বাকী দুধটা গ্লাসে করে বিছানার উপরে এসে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
- দুধটা খেয়ে নাও।
দুধের গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢকঢক করে নাক বন্ধ করে খেয়ে নিলাম।
দুধের গ্লাসটা আমার হাত থেকে নিয়ে টেবিলের উপরে রাখল। আমি সেই সুযোগে দাদীর কথা মতো বিছানা দিয়ে নেমে তার পায়ে সালাম করলাম। আমাকে তুলে বিছানায় বসিয়ে তিনি বলল,
- জান্নাত তুমি পড়াশুনা করে এসব সালাম করার রীতিনীতি চেইঞ্জ করতে পারলে না..? আমার সাথে চলাফেরা করতে হলে এসব গ্রামের চালচলন করা যাবে না। তোমাকে স্মার্টভাবে চলতে হবে। তুমি শুধু আমাকে খুশি রাখবে আর আমি তোমার সমস্ত চাহিদা পূরণ করব। জানো জান্নাত একটা মেয়ে পারে একজন পুরুষের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে তাকে সব সময় নিজের করে আগলে রাখতে। পুরুষদের তো একটাই চাহিদা ওটা পূরণ করতে পারলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্ত্রী হতে পারবে তুমি..?
বাসর রাতে স্বামী নামক মানুষটির কাছ থেকে এমন কথা শুনে আমার এতটাই খারাপ লাগছিল যেটা কল্পনার বাহিরে। ইচ্ছা করছিল এখনি একে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাই কিন্তু আমাদের সমাজ বলে একটা কথা আছে যার কারণে মুখ বুঝে মেনে নিতে হবে।
আমার সাথে আজকেই প্রথম তিনি কথা বলেছেন আর প্রথম দিনেই তিনি বলে দিচ্ছেন তার চাহিদা পূরণ করতে হবে। ভালোবাসা কী বাজারের পন্য যে টাকা হলেই কেনা যায়..? স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা আল্লাহর দান। একজন স্ত্রী তার সব কিছু উজার করে তার স্বামীকে ভালোবাসতে চেষ্টা করে। কিন্তু এটা কী শুনছি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
- জান্নাত চুপ করে আছ কেন..? কিছু বলছ না যে..? রাত অনেক হয়েছে চলো শুয়ে পড়ি।
- হুম।
- তুমি কী এত ভারী শাড়ি আর গহনা পড়ে ঘুমাবে..? তাইলে তো আমার ঝামেলা হবে।
- কিসের ঝামেলা...?
- বাহ্ রে আজকে তো আমাদের বাসর রাত সেটা কী তুমি ভুলে গেছ..?
- না।
সোহান আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বলল,
- এটার ভেতরে দু'পিচ একটা নাইটি আর পিল আছে। শাড়ীটা চেইঞ্জ করে এটা পরে এসো আর ওষুধটা খেয়ে নাও।
আমি জব নিয়েছি মাত্র ৫ বছর তাই এত তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিতে চাচ্ছি না।
প্যাকেটটা খুলে নাইটিটা হাতে নিতেই কেমন জানি লাগছে আমার। কোনদিন এমন পোশাক পড়িনি।
তার উপরে পিল দেখে মেজাজ গরম হয়ে গেল।
- কী হলো, এমনভাবে তাকিয়ে আছ কেন..? পরে নাও।
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে অবশেষে শাড়ি খুলতেই সোহান বড়বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এদিকে আমার তো লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পালা!
সোহান এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
ওয়াও জান্নাত! কী ফিগার তোমার..?
কী স্লীম তোমার পেটে..? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। ইচ্ছা করছে পেটের উপরে কিস করি।
আমি হাত দিয়ে ব্লাউজের হুক খুলতে নিলে সোহান বাধ সাধলো। না জান্নাত আমি খুলব।
সোহান ব্লাউজের হুক খুলতেই আমি পুরো স্তব্দ হয়ে যাই। একে একে শরীরের সমস্ত কাপড় খুলে ফেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সোহান। বিষয়টা আমার কাছে একদমই ভালো লাগছে না। একজন স্বামীর বাসর রাতেই স্ত্রীর দিকে এতটা কুনজরে তাকানোটা মানায় না!
স্বামী
পর্বঃ_১
ভুল ত্রুটি সুন্দর ক্ষমার চোখে দেখবেন।
কেমন হলো জানবেন।
চলবে.........
Comments
Post a Comment